সুন্দরবনের খলিশা ফুলের মধু

৳  525.00৳  5,250.00 (-36%)

  1. সুন্দরবনের খলিশা ফুলের মধু দেখতে এবং এর ঘনত্ব অন্যান্য মধুর চেয়ে পাতলা ধরনের হয়।
  2. মধু খেতে খুবই সুস্বাদু, এর স্বাদ হালকা টক মিষ্টি ধরনের হয়।
  3. খলিশা ফুলের মধুতে  কোনোরকম বাজে গন্ধ থাকবে না।
  4. এই মধুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলে, বোতল ঝাঁকালে এতে প্রচুর পরিমাণে ফেনা তৈরি হবে।
  5. খাঁটি সুন্দরবনের খলিশা ফুলের মধু জমে যাবে না।
  6. অনেকের কাছে এই সুন্দরবনের মধুর স্বাদ অনেকটা আখের রসের মতন মনে হয়।

আমাদের কাছে ৫০০ গ্রাম থেকে শুরু করে আপনার যত পরিমাণ ইচ্ছা অর্ডার করতে পারেন।

  • ১ কেজি
  • ২ কেজি
  • ৫ কেজি
  • ৫০০ গ্রাম
Clear
SKU: N/A Categories: ,

 সুন্দরবনের খলিশা ফুলের মধু

সুন্দরবনে যতগুলো গাছ আছে তাদের মধ্যে খলিশা, কেওড়া, গড়ান গাছ, বাইন গাছে বেশি ফুল ধরে। আর এদের মধ্যে সবচেয়ে দামী হলো প্রাকৃতিক খলিশা ফুলের মধু।এর দাম অন্যান্য ফুলের মধুর চেয়ে বেশি এবং এটি সারা বছর পাওয়া যায় না। মধুর ঘ্রাণ, স্বাদ এবং কোয়ালিটির কারণে একে “গোল্ড মধু”ও বলা হয়। এক কথায়, সুন্দরবনের আশীর্বাদ এই খলিশা ফুলের মধু।

সুন্দরবনের মধুর উপকারিতা

মধুর পুষ্টিগুণের কারণে একে খাবারের তালিকায় প্রথম সারিতে রাখা যায়। সুন্দরবনের মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান, যা শরীরের জন্য উপকারী। যেমনঃ

  1. সুন্দরবনের মধু শরীরে শক্তি প্রদান করে। এই মধু দেহে পর্যাপ্ত তাপ ও শক্তির যোগান দিয়ে শরীরকে সতেজ ও সুস্থ রাখে।
  2. অন্যান্য মধুর মতো সুন্দরবনের ফুলের মধুতে যে শর্করা থাকে, তা হজম প্রক্রিয়ায় সহায়ক হয়। মধুতে যে ডেক্সট্রিন থাকে, তা সরাসরি শরীরের রক্তে প্রবেশ করে। ‘পেটরোগা’ মানুষের জন্য এই মধু বিশেষ উপকারী।
  3. মধুতে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। ১ চা–চামচ খাঁটি মধু ভোরবেলা পান করলে কোষ্ঠবদ্ধতা এবং অম্লত্ব দূর হয়।
  4. সুন্দরবনের মধুতে খুব বেশি পরিমাণে কপার, লৌহ ও ম্যাঙ্গানিজ থাকায়  রক্তের ‘হিমোগ্লোবিন’ গঠনে সহায়তা করে। এক গ্লাস গরম পানির সঙ্গে ১ বা ২ চামচ মধু এবং ১ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেলে তা রক্ত ও রক্তনালী পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
  5. ফুসফুসের যাবতীয় রোগ ও শ্বাসকষ্ট নিরাময়ে  মধু একটি উপকারী সমাধান।
  6. রাতে শোয়ার আগে ১ গ্লাস পানির সাথে ২ চা–চামচ আমাদের মধু মিশিয়ে খেলে আপনার ঘুম যথেষ্ট ভালো হবে।
  7. মধু দাঁতের ক্ষয়রোধ করে, পাথর জমাট বাঁধা রোধ করে এবং দাঁত পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়।
  8. মধু পরিপাকতন্ত্রের কাজকে জোরালো করে। মধুর ব্যবহার অম্লত্ব কমিয়ে দেয় বলে অরুচি, বমিভাব, বুক জ্বালাপোড়া করা দূর হয়।
  9. এই মধু চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।
  10. মেয়েদের মুখের ত্বকের মসৃণতা বাড়াতেও মধু ব্যবহার করা হয়।
  11. অন্যান্য মধুর মতো এই সুন্দরবনের খলিশা ফুলের মধু খেলেও শরীরের ওজন কমে
  12. প্রতিনিয়ত ২ চামচ মধুর সঙ্গে ১ চামচ রসুনের রস মিশিয়ে সকাল-সন্ধ্যা দুইবার এই মিশ্রণ খেলে উচ্চ রক্তচাপ এর ঝুঁকি কমবে। প্রতিদিন সকালে খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে খেলে এর সুফল পাওয়া যায়।
  13. মধুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের মধুতে ফেনা হয় কেন?

সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের মধুতে সাধারণত ঝাঁকি লাগলে ফেনা হতে দেখা যায়। এমনকি পাত্র পরিবর্তন করলে পাত্রের অর্ধেক কিংবা সম্পূর্ণ মধুই সাদা রঙের ফ্যানাতে রুপান্তর হয়ে যায়। এজন্য আমাদের মধু ক্রেতারা অনেকসময় মধু খাঁটি কিনা এ নিয়ে সন্দেহ করে থাকেন। আসলে, এটি একটি খুবই স্বাভাবিক বিষয়। এই ফ্যানা হওয়াই সুন্দরবনের প্রাকৃতিক খাঁটি মধু চেনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। এজন্য আমরা এর বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা আপনাদের কাছে তুলে ধরছি।

  1. আমরা সবাই সুন্দরবনকে ‘ম্যানগ্রোভ বন’ হিসেবে চিনে থাকি। তাই এই বনের আবহাওয়া আমাদের দেশের অন্য অঞ্চলদের আবহাওয়া থেকে অন্যরকম হয়। এখানে ঘন ঘন বৃষ্টিপাত হয় বলে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ সবসময় বেশি থাকে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মৌচাকের মধুতেও জলীয়দ্রবণের পরিমাণ বেশি হয় এবং এই কারনে মধুর ঘনত্ব অনেক কম হয় বা পাতলা হয়ে থাকে।
  2. তাছাড়া আমাদের এই প্রাকৃতিক সুন্দরবনের মধুতে ঝাঁকি লাগলে বা পাত্র পরিবর্তন করার ফলে মধুতে এক ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে এবং এতে কার্বন-ডাইঅক্সাইড (CO2) উৎপন্ন হয়। বিদ্যমান এই কার্বন-ডাইঅক্সাইড মধুর মধ্যে বায়ুর বুদবুদ সৃষ্টি করে, যা আমরা সাদা রঙের ফ্যানা হিসেবে দেখতে পাই। এছাড়া পাত্র যদি বন্ধ থাকে তাহলে পাত্রের ভেতরে প্রাকৃতিকভাবে এক ধরনের গ্যাস তৈরি হয়। এই মধু প্ল্যাস্টিক বোতলে রাখলে আমরা মাঝে মাঝে দেখি বোতলটি ফুলে যায় যা সৃষ্ট এই গ্যাসের কারণেই হয়। আবার কাঁচের পাত্রে সংরক্ষণ করলেও গ্যাসের চাপে পাত্রটি অনেকসময় ফেটে যেতে পারে।
  3. তাই, আপনারা যদি সুন্দরবনের খলিশা ফুলের মধু কোন পাত্রে রাখেন, কিছুদিন পর পর এর মুখ খুলে ভেতরের গ্যাসটি বের করে দিবেন যাতে কোন সমস্যা না হয়। মধুতে ফেনা তৈরি হলে মধুটি কিছুক্ষণ স্থিরভাবে রেখে দিন। ফ্যানা যুক্ত মধুটি আপনা আপনি পুনরায় তরল মধুতে পরিণত হবে। এবং এতে মধুর গুণগত মানের কোন পরিবর্তন ঘটবে না। আপনি চাইলে তা ফেলে দিতে পারেন।

Additional information

কেজি

১ কেজি, ২ কেজি, ৩ কেজি, ৪ কেজি, ৫ কেজি, ৫০০ গ্রাম

See It Styled On Instagram

    No access token

Main Menu